AD

আমরা সাধারণত কী বোর্ড থেকে ডাটা বা Text  ইনপুট দিয়ে সেভ করে রাখি । কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি এই কম্পিউটার ডাটা গুলো সেভ করে রাখে কেমন করে । চলুন কিছুটা ধারনা নেওয়া জাক কম্পিউটার ডাটা গুলো Storage করে কেমন করে । 




১/ কম্পিউটার মেমোরি কী? ( What is computer memory in bangla tutorial  )

কম্পিউটার সিস্টেমে স্থায়ী বা অস্থাযী ভাবে ডেটা ও প্রোগ্রাম সংরক্ষনের জন্য ব্যবহৃত মাধ্যমে বা ধারককে মেমোরি বলে। মেমোরির যে নিদিষ্ট অবস্থানে ডেটা সংরক্ষিত হয় তাকে মেমোরি  Address বলা হয় এবং প্রতিটি সুনিদিষ্ট স্থানকে মেমোরি সেল বলা হয়। মেমোরি মূল ( Semiconductor) অর্ধ পরিবাহী দ্বারা তৈরি করা হয়।


মেমোরি দুই প্রকার হয়ে থাকে । ১। RAM , ২। ROM 


১। RAM কি ? (What is RAM in Bangla Tutorial) 

Random Access Memory (RAM) বলা হয় । র‍্যামে তথ্য পড়া ও লেখা উভয় কাজই সম্পাদন করা যায় বলে একে লিখন পঠন স্মৃতি বা Read Writing Memory ও বলা হয় । মাদারবোর্ডের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত যে মেমোরিতে Read and Write দুটি কাজই সম্পন্ন করা যায় , সে মেমোরিকে র‍্যাম বলে।


২। ROM কী ? ( What is a ROM in Bangla tutorial) 

Read Only Memory ( ROM) বলা হয়। এটি একটি স্থায়ী প্রধান মেমোরি । রমের স্মৃতিতে রক্ষিত তথ্য সমূহ কেবল ব্যবহার করা যায় কিন্ত সংযোজন, সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায় না । তাই একে Read Only Memory -ROM বলা হয়। কম্পিউটারে নিয়ন্তমূলক কাজের জন্য মাইক্রোপ্রসেসর বিশেষ ধরনের মেমোরির ব্যবস্থা রয়েছে তাকে রম (ROM) বলে। 

কম্পিউটার ০ এবং ১ ছাড়া অন্যে কিছু বোঝে না । এই ০, ১ কেই বাইনারি সংখ্যা বলে । এই বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে আমাদের দেওয়া ইনপুট গুলো বিট, বাইট, গিগাবাইট আকারে ডাটা সেভ করে রাখে । 


 ২/ বিট কী ? (  What is a binary bit in Bangla tutorial) 

বাইনারী নাম্বার পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০ এবং ১ এর অংক দুইটির প্রত্যেকটিকে এক একটি বিট বলা হয় । ইংরেজিতে বাইনারি(Binary) শব্দের Bi এবং ডিজিট(Digit) শব্দের t নিয়ে বিট(Bit) শব্দটি গঠিত । বিট হল কম্পিউটার সংখ্যা পদ্ধতির ক্ষুদ্রতম একক । বাইনারি পদ্ধতিতে তথ্য প্রকাশের মৌলিক একক হল বিট । 

যেমন , 

৫বিট = ১০০১০ বাইনারি । 

৬ বিট = ১০১০১০বাইনারি। 


৩/ বাইট কী ? ( What is a bite in Bangla tutorial ) 

৮ বিটের কোড দিয়ে যে কোন বর্ণ , অঙ্কন বা বিশেষ চিহ্নকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে । ৮ টি বিট দিয়ে গঠিত শব্দকে বাইট বলা হয় । কম্পিউটারের স্মৃতি বা মেমোরির ধারনক্ষমতা প্রকাশের একক হলো বাইট । 


৪/ কম্পিউটার শব্দ( Word) কেমন করে মনে রাখে?

কম্পিউটারের সকল শব্দই থাকে ০ বা ১ বিট হিসাবে । ৮ বিট বিশিষ্ট  শব্দকে  বাইট বলা হয়। কোন শব্দে যতগুলো বিট থাকে সেই সংখ্যাকে বলে শব্দ দৈর্ঘ্য । সাধারন শব্দের দৈর্ঘ্য ৮ গুনিতক থেকে ৬৪ বিট হয় ।

৮ বিট বা ১ বাইট = ১ কেরেক্টার কিন্ত ১ বিট = ১ ডিজিট আবার ১ বাইট = ১ সিগনাল ।


৫/ গিগাবাইট ( GB) কী ? ( What is a Gigabyte in Bangla tutorial ) 

১০২৪ মেগাবাইট( MB) = ১ গিগাবাইট (GB) 

কম্পিউটারের হার্ড-ডিস্ক মাপার একক হলো গিগাবাইট (GB)। মনে রাখি , কম্পিউটারেরার স্মৃতির ধারন ক্ষমতা পরিমাপের ক্ষুদ্রতম একক হলো বিট । আবার কম্পিউটারের স্মৃতি ধারনক্ষমতা প্রকাশের একক হলো বাইট ।


৬/ কম্পিউটার শব্দ STORAGE করে কেমন করে ?

কম্পিউটার মেমোরিতে ডেটা সংরক্ষনের পরিমাপকে মেমোরির STORAGE বলে । একে প্রকাশ করা হয় বাইট , কিলোবাইট , মেগাবাইট , গীগাবাইট , ইত্যাদি দ্বারা ।


১ বাইট(Byte) =  ৪ বিট (Bit) 

১ নিবল(Nibble) = ৪ বিট(Bit)

১ কিলোবাইট(KB) = ১০২৪ বাইট(Byte)

১ মেগাবাইট(MB) = ১০২৪ কিলোবাইট (KB)

১ গিগাবাইট (GB) = ১০২৪ মেগাবাইট(MB) 

১ টেরাবাইট(TB) = ১০২৪ গিগাবাইট (GB)

১ পিটাবাইট(PB) = ১০২৪ ১ টেরাবাইট(TB)



৭/ হার্ডডিস্ক কী ? ( What is a hard disk drive(HDD) Bangla Tutorial?  ) 

কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষনের প্রধান যন্ত্র হলো হার্ডডিস্ক । হার্ডডিস্কের অপর নাম চুম্বকিয় ডিস্ক ১৯৫৬ সালে IBM কোম্পানি সর্বপ্রথম হার্ডডিস্ক ব্যবহার শুরু করেন । হার্ডডিস্ক হচ্ছে পাতলা গোলাকার ধাতব পাতের সমম্বয়ে গঠিত সহায়ক মেমোরি। ধাতব পাতের উভয় পৃষ্টে চুম্বকীয় পদার্থের প্রলেপ থাকে । এজন্য এ ডিস্ককে চুম্বকীয় ডিস্কও বলা হয় । ডিস্কের গোলাকার ধাতব পাতগুলো দেখতে গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো । গোলাকার ধাতব পাত গুলো একটির উপরে একটি স্তরে বসানো থাকে । 

পাতগুলোর পৃষ্টে অনেক গুলো এককেন্দ্রিক বৃত্তে ডেটা  সংরক্ষণ করা হয় । এসব বৃত্তকে ট্র্যাক বলা হয় । প্রতিটি  বৃত্তকে সমান ভাগে ভাগ করা হয় এরুপ এক একটি ভাগকে সেক্টর বলা হয় । প্রতিটি সেক্টরের ধারনক্ষমতা ৫১২ বাইট । পাতগুলোর মাঝখানে আধা ইঞ্চির মতো ফাঁকা স্থান থাকে । এই ফাঁকা জায়গায় একটি দন্ড থাকে । এই দন্ডকে “Shaft” ও বলা হয় । এই দন্ডের সাহায্যে পাতগুলা একটির উপর আরেকটি বসানো থাকে এবং সেই দন্ডের সাহায্যে কাজের সময় পাতগুলো প্রতি মিনিটে সাধারনত ৭২০০ বার ঘুরে । হার্ডাডিস্কের  ধারনক্ষমতা নির্নয় করা হয় সাধারনত গিগা বাইট এককে সাধারণত বাজারে ২০ জিবি থেকে ৫০০ জিবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্কের প্রচলিত আছে । ৬ টিবি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্ক এখনো বাজারে পাওয়া জায় । কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষনের প্রধান যন্ত্র বা প্রধান মেমোরি হলো হার্ডডিস্ক । বিশ্বে সর্বপ্রথম IBM কোম্পানি ১৫৬ সালে হার্ডডিস্ক ব্যবহার শুরু করে । Seagate , Toshiba হলো বিশ্বের প্রধান শীর্ষ স্থানীয় হার্ডডিস্ক নির্মানকারী প্রতিষ্টান । 


Post a Comment

Previous Post Next Post